বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:৫০ অপরাহ্ন
পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিয়েছে ভারত। দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেছেন, পাকিস্তান যদি রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সন্ত্রাসবাদ চালিয়ে যেতে থাকে, তবে তাদের ভৌগলিক অস্তিত্ব বিপন্ন হবে।
রাজস্থানের অনুপগড়ের একটি সেনা পোস্টে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, এবার ভারতীয় সেনারা কোনো সংযম দেখাবে না। ইঙ্গিত দেন, ইসলামাবাদ যদি সন্ত্রাসবাদ বন্ধ না করে, তবে ‘অপারেশন সিঁদুর’র দ্বিতীয় ধাপ শুরু হতে পারে।
জেনারেল দ্বিবেদী বলেন, অপারেশন সিঁদুর ১.০-এ আমরা সংযম দেখিয়েছিলাম। কিন্তু এবার এমন কিছু করবো, যাতে পাকিস্তান ভাবতে বাধ্য হয়, তারা টিকে থাকতে চায় কি না। যদি টিকে থাকতে চায়, তবে অবশ্যই রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সন্ত্রাসবাদ বন্ধ করতে হবে।
তিনি সৈন্যদেরও সতর্ক করে বলেন, প্রস্তুত থাকুন। ঈশ্বর চাইলে শিগগিরই আপনারা সুযোগ পাবেন। শুভকামনা রইল।
সেনাপ্রধানের এই বক্তব্যের আগে ভারতীয় বিমানবাহিনী প্রধান এপি সিং জানিয়েছিলেন, অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানের চার থেকে পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ছিল যুক্তরাষ্ট্রনির্মিত এফ-১৬ ও চীনা জেএফ-১৭ মডেলের যুদ্ধবিমান।
চলতি বছরের ২২ এপ্রিল ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। ওই হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হন। ভারত অভিযোগ করে, পাকিস্তান সন্ত্রাসী হামলা চালাতে সহায়তা করেছে। তবে পাকিস্তান এই অভিযোগ নাকচ করে আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান জানায়।
এ নিয়ে উত্তেজনার একপর্যায়ে গত ৬ মে দিনগত রাতে পাকিস্তান ও পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে (আজাদ কাশ্মীর) আকস্মিক বিমান হামলা চালায় ভারত। যার নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। ভারতের দাবি, আজাদ কাশ্মীরে ‘সন্ত্রাসীদের’ ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায় তারা।
ভারতের হামলার পর ‘অপারেশস বুনিয়ানুন মারসুস’ নামে পাল্টা হামলা শুরু করে পাকিস্তানি বাহিনী। এতে উভয় পক্ষই যুদ্ধবিমানের পাশাপাশি ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ও সর্বাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হয়। টানা কয়েকদিনের সংঘাতের পর ১০ মে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ভারত-পাকিস্তান।
সংঘাতের মধ্যেই পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী দাবি করে, ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুরের’ এর জবাবে গত ৭ মে রাতে তারা পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করে, যার মধ্যে ফ্রান্সের তৈরি তিনটি রাফাল যুদ্ধবিমান, একটা রাশিয়ার তৈরি মিগ-২৯ ও একটি এসইউ-৩০ রয়েছে।
সংঘাতের পর পাকিস্তান দাবি করেছিল, সংঘর্ষ চলাকালে তারা ভারতের ছয়টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে, যার মধ্যে ফরাসি রাফালও রয়েছে। ভারত কিছু ক্ষতির কথা স্বীকার করলেও ছয়টি যুদ্ধবিমান হারানোর দাবি অস্বীকার করে।
সূত্র: এনডিটিভি, রয়টার্স